মহান ঈদে আজম তথা প্রিয়নবীর প্রকাশ ও দুনিয়ায় শুভাগমনের প্রথম সুসংবাদ ও ঘোষনা স্বয়ং দয়াময় আল্লাহতাআলা তাঁর সকল নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম সবাইকে সমবেত মহাসম্মেলন করে দান করেছেন।
সব নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামকে ঈদে আজমের লক্ষ্য ও মিশনে একাকার ঘোষনা করেছেন এবং স্বয়ং আল্লাহতাআলা নিজেও রেসালাতের প্রকাশ ঈদে আজমের মহান সাক্ষী হয়ে বলেছেন,
وَاِذۡ اَخَذَ اللّٰهُ مِيۡثَاقَ النَّبِيّٖنَ لَمَاۤ اٰتَيۡتُكُمۡ مِّنۡ كِتٰبٍ وَّحِكۡمَةٍ ثُمَّ
جَآءَكُمۡ رَسُوۡلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمۡ لَـتُؤۡمِنُنَّ بِهٖ وَلَـتَـنۡصُرُنَّهٗ ؕ قَالَ ءَاَقۡرَرۡتُمۡ
وَاَخَذۡتُمۡ عَلٰى ذٰ لِكُمۡ اِصۡرِىۡؕ قَالُوۡۤا اَقۡرَرۡنَا ؕ قَالَ فَاشۡهَدُوۡا وَاَنَا مَعَكُمۡ مِّنَ الشّٰهِدِيۡنَ
(সুরা: আল এমরান-৮১)
প্রাথমিক ভাবার্থঃ যখন আল্লাহতাআলা তাঁর নবীগণকে তাঁর নিকট সমবেত করলেন এবং এরশাদ করলেন, “আমার নবী হিসেবে আপনারা আমার অহী ও দ্বীন নিয়ে দুনিয়ায় যাওয়ার পর আপনাদের পরে সমগ্র মানবমন্ডলীর হিদায়াত নাজাতের জন্য, আমার সর্ম্পকিত করার জন্য, আপনাদের ধারাবাহিকতায় আমার মহান রাসুল শুভাগমন করবেন ও আপনাদেরও স্বাক্ষী হয়ে সত্যায়ন করবেন, আর আপনারা তাঁর সাথে যুক্ত থাকবেন এবং তাঁর সহযোগী তথা তার পক্ষে হকের ধারা প্রবাহ জারি রাখবেন। নবীগণ মহান রাসুলের একাত্মতার অঙ্গীকার করলেন এবং তাঁর শুভাগমনের লক্ষ্যে অংশীদার হলেন, আল্লাহতাআলা বললেন, আমিও আপনাদের সাথে আমার রাসুলের প্রকাশ ও শুভাগমনের ঘোষনা করলাম ও স্বাক্ষী হলাম”।
এ মহান ঘটনা নবীগণ দুনিয়ায় শুভাগমনের পূর্বের ঘটনা যেখানে সব নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম প্রত্যক্ষ হাজির ছিলেন দয়াময় আল্লাহতাআলার সামনে। নবীগণ দুনিয়ায় বাহ্যিক শুভাগমনের পূর্বেও নবী হিসেবেই আল্লাহতাআলার সাথে প্রত্যক্ষ সম্পর্কিত-আলোকিত-জাগ্রত-জীবীত ছিলেন এবং আছেন দুনিয়া থেকে জাহেরী প্রত্যাগমনের পরও।
==============
– আল্লামা ইমাম হায়াত