চাহার শোম্বা নামে এই ধরণের কিছু ইসলামে নেই। এসব পালনের শরিয়তগত ভিত্তি কোনো ভিত্তি নেই। কোরআনুল করীম ও হাদিস শরীফে এটা পালনের কোনো নির্দেশ নেই। মহান মকবুল সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম এ দিবস পালনের কোনো নজির নেই। কিছু মূর্খ লোক যা বলে এটা পালনের কথা বলে তা ভুল বর্ণনা ও ভুল ব্যাখ্যা।
কিছু দলিলহীন দোয়ার বইতে এ দিবসে কিছু দোয়া দরুদ শরীফ পড়ার কথা বলা আছে, দোয়া দরুদ শরীফ সবসময় পড়া ভালো, দোয়া দরুদ শরীফ প্রতিদিন প্রতি মুহূর্ত পড়া যায়। এ দিবস ঘটনা করে কোনো পালনের বিষয় নয়। এটা পালনের উপলক্ষ হিসেবে কিছু মূর্খ লোক যা রটনা করেছে তা ঠিক নয়।
ঈমানদারকে নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামদের সবকিছু শাণে নবুওয়াত শাণে রেসালাতের দৃষ্টি ও ভিত্তিতে দেখতে হয়, বাহ্যিক মানবীয় স্থুল জড় দৃষ্টিতে নয়।
মহান শাণে রেসালাতের অতুলনীয় মহিমা বুঝতে অক্ষম কিছু জাহেল মোল্লা বলে থাকে যে, আল্লাহতাআলার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম এ দিন সুস্থ হয়েছেন। নাউজুবিল্লাহ
কিন্তু সত্য এই যে, আল্লাহতাআলার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের কোনো মানবীয় অসুস্থতা নেই এবং আরোগ্যের প্রশ্নও নেই।
বাহ্যিকভাবে যেটা দেখা গেছে সেটা রোগজনিত অসুস্থতা নয়, তা কেবলমাত্র দুনিয়া থেকে জাহেরী অন্তরালের পূর্বে নিজের প্রিয় উম্মতের সীমাহীন প্রেম আর মায়ায় ও দ্বীন মিল্লাত মানবতার প্রতি অসীম দয়ায় ভবিষ্যতের চিন্তায় কষ্ট ও অধীরতা এবং জাহেরী শেষ সময়ে আল্লাহতাআলা অতুলনীয় নিকটবর্তী ও অশেষ তাজাল্লিতে আবৃত করে রাখার মকামে রেসালাতগত এক অতুলনীয় প্রতিক্রিয়া; যা মানব জ্ঞানের অতীত।
জাহেরী ভাবে অসুস্থ মনে হলেও সেটা অসুস্থতা নয়, সে অবস্থাকে মাআরেফাতের ভাষায় এস্তেগরাকে তাজাল্লিয়ে ইলাহি বলা হয়।
হাকীকতের জগতে এ সময় ও অবস্থা কোরবতে জাতে ইলাহীর এক অসীম হাল, যা প্রশান্ত হয় “বালির রাফিকিল আলা” তথা আল্লাহতাআলা তাঁর নিজের কুদরত রহমত মহাব্বতের অতুলনীয় অসীম মোবারক বুকে নিজের নুর ও পরম মাহবুবকে একাকার মিলিত করে নেয়ার মাধ্যমে; যা আগেও ছিলো কিন্তু এটা আরো খাস হাল ও শাণ।
আল্লাহতাআলার হাবীব রাহমাতাল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের নাম মোবারকের বরকতে মানুষ সকল রহমত ও শেফা লাভ করে।
আল্লাহতাআলা কোরআনুল করীমকে শেফা ও রহমত উল্লেখ করেছেন, আর কোরআনুল করীমেরও মূল ও সকল নূরের মূল ধারক আল্লাহতাআলার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম।
আল্লাহতাআলার হাবীব রাহমাতাল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের রহমত ও নাম মোবারকের অসিলায় সবাই জাহেরী বাতেনি শেফা লাভ করেন।
সব শেফা ও রহমতের মূল কারণ ও উৎস প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের পবিত্র জামা মোবারক পর্যন্ত আল্লাহতাআলা শেফার অসিলা হিসেবে কোরআনুল করীমে উল্লেখ করেছেন। সুরা ইউসুফ আয়াত শরীফ নং 93
চার শোম্বার নামে প্রচলিত এসব কাহিনী আল্লাহতাআলার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের শানের খেলাফ ঈমান বিরোধী কল্প কাহিনী।
আল্লাহতাআলার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম আল্লাহতাআলার নুর এবং বাহ্যিক সব অবস্থার উর্ধ্বে মানবীয় অবস্থার উর্ধ্বে।
চাহার শোম্বা বলতে কিছু কোরআনুল করীম ও হাদিস শরীফে নেই। এটা এমনিতেই ফার্সি টার্ম, যার অর্থ মাসের শেষ বুধবার যার সাথে আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের বা ইসলামের কোনো বিষয়ের সম্পর্ক নেই।
এসব পালন ঈমানসম্মত ভাবে শাণে রেসালাতে ইলাহি বুঝতে অক্ষমতা ও বস্তুবাদি দৃষ্টিকোণ। এসব পালন গোমরাহী ও ঈমান হানিকর। নাউজুবিল্লাহ।
– আল্লামা ইমাম হায়াত ( Allama Imam Hayat )
(ইসলামের মূল ধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রকৃত ধারার এ যুগের পূণরূজ্জীবনকারী এবং বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক)