(১)
* নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার * * নারায়ে রেসালাত-ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম *
সুন্নী দাবী করার ভিত্তি একমাত্র ঈমান তথা সব বাতেল থেকে মুক্ত থেকে দ্বীনের পূর্ণাংগতায় বিশ্বাস তথা ঈমানের পবিত্র কলেমার পূর্ণাংগ বিশ্বস্ততায় একমাত্র প্রাণাধিক প্রিয়নবীর আপনত্বেরই প্রাণাধিক মহান প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের হয়ে যাওয়া।
সব কিছুর ঊর্ধ্বে প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের প্রেমই দয়াময় আল্লাহতাআলার প্রেম ও সম্পর্ক তথা ঈমানের প্রাণ এবং প্রাণপ্রিয় মহামহিম আহলে বায়েত-মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন-মকবুল সাহাবায়ে কেরাম সত্যের ইমামবৃন্দ-আওলিয় কেরামের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালবাসা ও সম্পর্ক প্রাণাধিক প্রিয়নবীর আপনত্বেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ যাঁদের খেলাফ ঈমান দ্বীনের প্রকৃতধারা থেকেই বিচ্ছিন্নতা।
ইসলামের ছদ্মবেশী বাতিল ফেরকা যেমন ঈমান হানিকর বাতেল, তেমনি বস্তুবাদী মতবাদও ঈমান পরিপন্থী বাতিল। উভয় বাতিলের তৈরী সব ব্যবস্থাই তাদের অসৎ স্বার্থে ঈমান-দ্বীন ও মানবতার বিরূদ্ধে সৃষ্ট। বাতিল ফেরকা ও বস্তুবাদী মতবাদ ও তাদের সৃষ্ট ব্যবস্থা ও কাঠামো কবুল করা হলে মহান শাহাদাতে কারবালার আমানত ও নির্দেশ খেয়ানত হবে তথা ঈমানের পবিত্র কলেমার চেতনার বিপরীত হবে এবং ঈমানী অস্তিত্ব বিণাশ হবে।
সব বাতিল থেকে মুক্ত না হয়ে তথা এক বাতিল থেকে মুক্ত থেকেও আবার অন্য বাতিলের সাথে মিশে যাওয়া ও তাদের ব্যবস্থা সমর্থন করা এবং দ্বীনের পূর্ণাংগ ধারায় বিশ্বস্ত না হয়ে কেবল বাহ্যিক কিছু বিচ্ছিন্ন আমল প্রদর্শন সুন্নীয়ত নয়। নিকট অতীতে সব বাতেল ও তাদের ব্যবস্থা প্রত্যাখান না করে এবং দ্বীনের পূর্ণাংগ ধারায় বিশ্বস্ততা অটলতা হারিয়েই আমরা সুন্নী মিল্লাত আজ ধ্বংসস্তুপ, পরাজিত ও সর্বহারা। পূর্ণাঙ্গতা বলতে ঈমানের ভিত্তিতে দ্বীনের আত্মিক-ব্যক্তিক-আধ্যাত্মিক-রাজনৈতিক সব দিকে নিজেদের পথে থাকা এবং ভাই-বোন সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, যার ব্যতিক্রম আহলে সুন্নাতের পথ নয় বরং ধ্বংসাত্মক।
প্রাকৃতিক শক্তির পর রাজনীতি বা রাজনৈতিক শক্তি ও ব্যবস্থার মাধ্যমেই জীবন ও দুনিয়া পরিচালিত হয়। দুনিয়াব্যাপী চলমান রাজনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামো তথা রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থা বাতিল ফেরকা, বস্তুবাদী মতবাদ ও বিভিন্ন ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদের তৈরি। অরাজনৈতিক হওয়া যেমন নিজেদের পথ বিসর্জন দিয়ে এ তিন বাতিল জালেম অপশক্তির কাছে জীবন ও দুনিয়া তুলে দিয়ে তাদের সব মেনে নেয়া তেমনি তাদের ভ্রান্ত রাজনীতির অংশ হওয়াও তাদের মধ্যে বিলীন হয়ে অস্তিত্ব বিসর্জন দেয়া।
ঈমানের পবিত্র কলেমার ভিত্তিতে আত্মার রূপরেখা একমাত্র রেসালাত কেন্দ্রিক তাওহীদ ভিত্তিক আত্মসত্ত্বা ও জীবন চেতনা, যার বিপরীত হচ্ছে নাস্তিক্যউদ্ভূত বস্তুবাদী জীবন চেতনা। আত্মা ও জীবনের সবদিকে ঈমানের পবিত্র কলেমার ভিত্তিতে দ্বীনের পূর্ণাংগ রূপরেখা ও দিকদর্শন রয়েছে যার ব্যতিক্রম আত্মঘাতী এবং বাতিল জালেম অপশক্তির আঁধার গহ্বরে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়া। রাষ্ট্রকাঠামো ও বিশ্বকাঠামো জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, ঈমানের পবিত্র কলেমার আলোকধারায় দ্বীনের নির্দেশিত দিকদর্শনে যার রূপরেখা খেলাফত তথা খেলাফতে ইনসানিয়াত বা দ্বীনী মূল্যবোধ ভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্র ও মুক্ত মানবতার অখন্ড বিশ্ব, অর্থাৎ রাষ্ট্র ও দুনিয়া সবার সব মানুষের, একক ধৰ্ম-জাতি-গোত্র ভাষা-শ্রেণী-বর্ণ ভিত্তিক একক গোষ্ঠি ভিত্তিক নয়, সবার জীবন স্বাধীনতা-অধিকার-নিরাপত্তা-কল্যাণ ভিত্তিক, কারণ মহান প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাহমাতাল্লিল আলামিন তথা সবার কল্যাণ ও মুক্তির উৎস।
(২)
* নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি ওয়া নুছাল্লিমু আলা হাবীবিহিল কারীম রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম *
সচেতন আন্তরিক সুন্নী পীর – আলেম-শিক্ষাবিদ-নেতৃবৃন্দ ও সকল ঈমানী ভাই – বোন সবার প্রতি বিপন্ন সুন্নীয়তের সুরক্ষায় নিজেদের সঠিক পথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন।
আস সালামু আলাইকুম, ঈমানের ধারা আহলে সুন্নাত, ইসলামের আসল ধারা আহলে সুন্নাত, দয়াময় আল্লাহতাআলা ও প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের সম্পর্ক ও বন্ধনের ধারা আহলে সুন্নাত, বদর- ওহোদ কারবালার শোহাদায়ে কেরামের আমানত আহলে সুন্নাত, ঈমানদার ও আহলে সুন্নাত তথ্য সুন্নীয়ত একাকার বিষয় যার বাহিরে সত্য নেই, মুক্তি নেই।
তাওহীদ রেসালাতের ভিত্তিতে খেলাফত – ইমামাত – বেলায়ত অবলম্বনে দ্বীনের পূর্ণাংগ ধারায় আন্ আমতা আলাইহিম তথা প্রাণপ্রিয় আহলে বায়েত মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন – মকবুল সাহাবায়ে কেরাম সত্যের ইমামবৃন্দ-মহান আওলিয়া কেরামের পথই আহলে সুন্নাত। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতই ইসলামের মূল ধারা তথা ইসলাম যার বাহিরে কোন ইসলাম নেই। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতই আমরা মুমিনদের ঈমানী অস্তিত্ব যা ধরে রাখাই পবিত্র কলেমায় অটল থাকা, সিরাতাল মুস্তাকিমে একাকার হওয়া।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত কোন প্রচলিত দল সংগঠন নয়, এটা আকিদা ঈমান – দ্বীনের চিরন্তন ধারা, সরাসরি এ মোবারক নামে কোন দল সংগঠন কমিটি করা বিভ্রান্তিকর এবং এর চিরন্তন রূপরেখার সাথে অসংগতিপূর্ণ, কিন্তু এর নীতি – আদর্শ – লক্ষ্যের ভিত্তিতে বিশ্বস্ত ও যথাযোগ্য সংগঠন আন্দোলন ব্যতীত জীবন ও দুনিয়ায় এর প্রবাহ ধারা কায়েম থাকেনা এবং বিপরীত অপশক্তির দখলে সবকিছু চলে যায়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত তথা দ্বীনের প্রকৃতধারা সুন্নীয়ত পূর্ণাংগ বিষয় যার বাহিরে দ্বীন ও জীবনের কিছু নেই। আকিদা আদর্শ – আধ্যাত্মিক-রাজনৈতিক জীবনের সবদিকে ঈমানের পবিত্র কলেমার ভিত্তিতে ইসলাম তথা আহলে সুন্নাতের নিজস্ব দিশা দিকদর্শন রূপরেখা আছে যার কোন দিক বাদ দিয়ে বা ব্যতিক্রম করে আহলে সুন্নাত দাবী করা অসার।
হকের ধারক বাহক আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এবং হকের বিপরীত কোন প্রকার বাতিলের মতপথ অনুসরণ করে আহলে সুন্নাত দাবী করা যায় না। আহলে সুন্নাত মানে সকল বাতিল থেকে মুক্ত ও সর্ব বাতিলের বিরুদ্ধে চির আপোসহীন এবং আকিদা – আদর্শ – আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক সব দিকে পবিত্র কলেমা কারবালার আলোকধারায় দ্বীনের বিশুদ্ধ ও পূর্ণাংগ ধারায় চিরবিশ্বও চিরঅটল নিবেদিত ধারা।
বিশ্বব্যাপী ইসলামের আসল রূপরেখা তথা আহলে সুন্নাতের শুধু কাঠামোই বিধ্বস্ত ও উৎখাত হয়নি, সংজ্ঞা ও পরিচয় পর্যন্ত আজ প্রায় বিলুপ্ত, না হয় ঈমানের খেলাফ বাতিল ফেরকা বস্তুবাদী মতবাদ-ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদ ও তাদের সৃষ্ট অপরাজনীতি এবং স্বৈরদস্যুতন্ত্র তথা একক গোষ্ঠিবাদী মুলুকিয়তের দোসর হয়ে কিভাবে হকের অপর নাম আহলে সুন্নাত দাবি করা হয়, ইসলামের পূর্ণাংগ রূপরেখা অস্বীকার করে অরাজনৈতিক কিম্বা বাতিল-জালিম অপশক্তির অপরাজনীতির অংশ হয়ে কিভাবে সুন্নী দাবি করা হয়, ইসলামের পূর্ণাগতা অস্বীকার করে লিংঙ্গবাদী ভাবধারায় মা বোনদের শিক্ষা-মর্যাদা-মানবসত্ত্বা মুমিনসত্ত্বা ও দ্বীনী দায়িত্ব অস্বীকার করে কিভাবে সুন্নী দাবি করা হয়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত তথা সুন্নীয়ত বিলুপ্ত বা ধ্বংস হওয়া মানে ঈমান ইসলাম – বিলুপ্ত হয়ে জীবন জগত মিথ্যা আঁধারে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়া। তবে ইসলাম বা আহলে সুন্নাতের সরাসরি বিলুপ্তির চেয়েও মারাত্মক ধ্বংসাত্মক বিষয় হচ্ছে এ নামে ধোকা প্রতারণা বিকৃতি ও বিপরীত অপশক্তির দাস দোসরের অংশ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ বাতিল ফেরকা বস্তুবাদী মতবাদ-ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদ এবং সত্য ও মানবতার বিরুদ্ধ এই তিন অপশক্তির সৃষ্ট স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো তথা ইসলাম বা আহলে সুন্নাতের নামেই বাতিল-জালিম অপশক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া।
বাতিল জালিম অপশক্তিকে ইসলাম বা আহলে সুন্নাতের নামে প্রতিষ্ঠিত করার চেয়ে ধ্বংসাত্মক প্রতারণা তথা আহলে সুন্নাতের বিরুদ্ধে নিকৃষ্ট যুদ্ধ আর কিছুই হতে পারে না, যা আজ চলছে। ইসলামের সরাসরি বিরুদ্ধ অপশক্তির চেয়ে ইসলাম বা আহলে সুন্নাতের নামে প্রতরণা, বিকৃতি ও বিপরীত অপশক্তির কাছে বিকিয়ে যাওয়া আজ ইসলামের মূলধারা আহলে সুন্নাতের সব সংকট ও ধ্বংসের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈমানের পবিত্র কলেমার মর্মধারা আহলে সুন্নাত তথা সুন্নীয়তকে উৎখাতের লক্ষ্যে আজ সর্ব বাতিলের প্রলয়ংকর যুদ্ধ চলছে যে যুদ্ধে সহযোগী হিসেবে এ নামেই কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন অপশক্তির চক্রান্তের চক্রজালে যোগ দিয়ে সুন্নীয়তের ধ্বংস ও বাতিলের প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে ।
ইসলাম তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মূল ভিত্তিই ঈমানের সকল বিষয়ে সঠিক আকিদা, কিন্তু ইসলাম বা আহলে সুন্নাত দাবী করেও ঈমানের প্রাণ শানে রেসালাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম এবং অন্য সব মৌলিক বিষয়ে সঠিক আকিদা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। আকিদার পর অন্যান্য প্রধান বিষয়ের সাথে ইসলামের পূর্ণাংগতা অগ্রাহ্য করে ইসলামের নির্দেশিত রাজনৈতিক দিক খেলাফতে • ইনসানিয়াত বাদ দিয়ে অরাজনৈতিক ঘোষনা করে অথবা বিভিন্ন প্রকার বাতিল জালিম অপশক্তির অপরাজনীতির দোসর হয়ে জীবন ও দুনিয়ায় বাতিলের আধিপত্য কায়েম রাখা হচ্ছে এবং দ্বীন-মিল্লাত-মানবতাকে রুদ্ধ ও ধ্বংসে সহায়তা করা হচ্ছে।
আকিদা ও আদর্শিক বিচ্যুতির সাথে ইসলামের নির্দেশিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াতের ধারণাসহ বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছে, যে খেলাফতে ইনসানিয়াত পবিত্র কলেমার অবিচ্ছেদ্য বিষয় এবং যা ব্যতীত অপশক্তির গ্রাস থেকে মুক্তি এবং সত্য ও মানবতার স্বাধীন সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার কোন পথ নেই। খেলাফতে ইনসানিয়াত তথা দ্বীনী মূল্যবোধ ভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মুক্ত মানবতার অখন্ড বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না থাকলে সত্য ও জ্ঞানের যুক্ত প্রবাহ যেমন রূদ্ধ ও নিষিদ্ধ হয়ে যায় তেমনি জীবন ও জগতের উপর বাতিল জালিম অপশক্তির স্বৈরদস্যুতা তথা একক গোষ্ঠিবাদী মুলুকিয়ত কায়েম হয়ে যায়। খেলাফত যে কলেমার জীবন চেতনা তাওহীদ রেসালাত ভিত্তিক জীবন চেতনার ভিত্তিতে সুন্নী আকিদার অবিচ্ছেদ্য বিষয় যা সত্য ও মানবতার রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং মুলুয়িত যে সুন্নী আকিদা তথা পবিত্র কলেমার জীবন চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত বিষয় যা মিথ্যা ও জুলুমের রাষ্ট্রীয় কাঠামো, অস্তিত্বের এ মৌলিক বিষয়কেও ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে যেন বাতেল কায়েম থাকে এবং সুন্নীয়ত বিলুপ্ত হয়।
একদিকে ইসলামের আসল রাজনীতি খেলাফতে ইনসানিয়াত পরিত্যাগ অপর দিকে ইসলামের রাজনীতি বা ইসলামী রাষ্ট্রের নামে বাতিল-খারেজি-সালাফি-শিয়াবাদ-ওহাবিবাদ ইত্যাদি ইসলামের ছদ্মনামে ইসলামের বিপরীত ধ্বংসাত্মক উগ্রবাদী সন্ত্রাসী অপরাজনীতি ইসলামের কাঠামোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং ইসলামের নামে বিপরীত মতাদর্শ কায়েম হচ্ছে। ইসলামের প্রকৃত ধারা আহলে সুন্নাতের আকিদা-আদর্শ যেমন ইসলামের ছদ্মবেশী বাতিল ফেরকা ওহাবি-সালাফি-শিয়াবাদি মতবাদ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন তেমনি আহলে সুন্নাতের রাজনৈতিক দিকও বাতিল ফেরকার অপরাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, ইসলামের নামে রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্র ইসলামের নামে ইসলামকে বিকৃত ও ধ্বংস করার জন্য বাতিল ফেরকার ভয়ংকর চক্রান্ত, অথচ আহলে সুন্নাতের দাবি করেও বাতিল ফেরকার অপরাজনীতির প্রতিধ্বনি করে বাতেলের সহায়তা ও সুন্নীয়তের ক্ষতি করা হচ্ছে।
আকিদা-আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক সবদিকে ইসলামের প্রকৃতধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে এবং দিশা-দিকদর্শন বিলুপ্তির মুখে এসে পৌঁছেছে।পবিত্র কলেমা কারবালার ঈমানী চেতনা হারিয়ে আকিদা-আদর্শ-আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক দিশাহীনতা, অপূর্ণাংগতা, বিকৃতি, বিভক্তিসহ বিভিন্ন কারণে এবং ভুল নেতৃত্বে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে আমরা আহলে সুন্নাত দুনিয়া থেকে পরাজিত উৎখাত হয়ে পড়েছি, প্রাণপ্রিয় কেবলাভূমি ও সারা দুনিয়া আজ সত্য ও মানবতার বিপরীত বাতিল জালিম অপশক্তির জবর দখলে গিয়ে মিল্লাত ও মানবতা পরাধীন ও মহাবিপদস্ত হয়ে অত্যন্ত অসহায়ভাবে সবদিকে চরম ধ্বংসের মধ্যে নিপতিত হয়ে পড়েছে।
এভাবে প্রকৃত ইসলাম তথা আহলে সুন্নাতের বিরুদ্ধে একদিকে বাতিল ফেরকা, বস্তুবাদী মতবাদ, ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদের যুদ্ধ ও তাদের অপরাজনীতির স্বৈরদস্যুতার গ্রাস এবং অন্য দিকে সুন্নীয়তের নামে ভিতর থেকে সুন্নীয়তকে অপূর্ণাংগ ও বিকৃত এবং বাতিল জালিম অশক্তির কাছে বিকিয়ে দেয়ার ফলে ঈমান দ্বীনের মূল ধারা আহলে সুন্নাত আজ নির্মূল হওয়ার পথে।
নিকট অতীতে ইসলামের মূলধারা আহলে সুন্নাতের যে নির্ভেজাল ও পূর্ণাংগ দিশা ও কর্মসূচীর অভাবে সৃষ্ট যে ঘোর আঁধারে পড়ে মিথ্যা-অবিচার-খুন-সন্ত্রাস-পাশবতা স্বৈরদস্যুতার ধারক অপশক্তির বিজয় ও তাদের নির্মম হিংস্র গ্রাসে দ্বীন-মিল্লাত-মানবতা পরাজিত ও মহাধ্বংসের শিকার, তা থেকে উদ্ধার ও মুক্তির একমাত্র উপায় সুন্নীয়তের সে হারিয়ে যাওয়া সুস্পষ্ট প্রমানিত দিশা দিকদর্শন বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের মাধ্যমে আজ পুনরুদ্ধার হয়েছে।
সুন্নীয়তের এ মহা সংকটে সুন্নীয়তের আপনদেরকে সুন্নীয়তকে বাঁচাতে নিজেদের সে চিরন্তন সঠিক পথে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সঠিক লক্ষ্য ও কর্মসূচী বাস্তবায়নে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে, না হয় আরও ধ্বংস অনিবার্য্য, যার জন্য আমাদের সবাইকে দায়ী থাকতে হবে, হয় সঠিক পথ না হয় ধ্বংসের পথ, হয় বিশ্বস্ততা না হয় বিশ্বাসঘাতকতা, হয় ঐক্য না হয় বিনাশ, ভুল পথে পরাজয় সঠিক পথে বিজয়, যে কোন একটা পথ আমাদের অবশ্যই বেচে নিতে হবে যা দোজাহানে আমাদের পরিণতি নির্ধারণ করবে।
নির্দেশনায়ঃ
বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বস্তুর উর্ধ্বে মানবসত্তার প্রবক্তা ও খেলাফতে ইনসানিয়াত (Sovereignty of life & state & world of humanity) তথা জীবনের সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মানবিক সাম্যের ভিত্তিতে সর্বজনীন মানবাধিকারের রূপরেখায় মুক্ত মানবতার অখন্ড প্রাকৃতিক বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক – ইমাম হায়াত।